ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি
আধুনিক সভ্যতায় শক্তির মূল উৎস হিসেবে যদিও ইলেকট্রিসিটিকে বিবেচনা করা হয় কিন্তু এই ইলেকট্রিসিটিকে ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক্সের কাজ এখন সবক্ষেত্রে । ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ছাড়া র্বতমান সভ্যতা অচল। ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি মুলত ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইকুইপমেন্ট ডিজাইন, ডেভেলপ, টেস্ট, মেনুফেকচারিং, স্থাপন এবং পরিচালনা ও মেরামত এর কাজ সম্পাদন করতে যা যা করে তা হলো কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট, মেডিক্যাল মনিটরিং ডিভাইস, নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট, কন্ট্রোলিং ডিভাইস, সার্ভো সিস্টেম এবং কম্পিউটার। এই টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা এনালগ ও ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও সার্কিটস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রনিক মেজারমেন্ট, টেলিকমিউনিকেশন, টিভি ব্রডকাস্টিং এন্ড স্টুডিও, ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল, মাইক্রোপ্রসেসর এন্ড ইন্টারফেসিং, রোবটিক্স, মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রো ওয়েব রাডার এন্ড নেভিগেশন এবং বায়োমেডিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টস বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে। চার বছর মেয়াদি এই টেকনোলজি হতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও কোন কোন ক্ষেত্রে এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে প্রাথমিক নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও অনেকেই বিভিন্ন প্রকার হোম এপ্লায়েন্স ও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইলেকট্রনিক্স ইকুইপমেন্টস তৈরি ও মেরামত কাজের মাধ্যমে ছোট ছোট ইন্ডাষ্ট্রি স্থাপন তথা ইন্টারপ্রেনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে অবদান রাখে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অধিকাশং দেশেই ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার গ্রাজুয়েটরা উচ্চ শিক্ষা ও কর্মে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম। ইতোমধ্যেই এ টেকনোলজির ছাত্র ইন্টারপ্রেনার হয়ে কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি করেছে এবং উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর ডক্টর অব ফিলোসফি ও পোস্ট ডক্টরলার ডিগ্রী অর্জন করেছে।
ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির ল্যাব সমূহঃ
১। বেসিক ইলেকট্রনিক্স ল্যাব।
২। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ল্যাব।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস