Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি পরিচিতি

ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি

ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি হল একটি পেশাদারী প্রকৌশল বিষয়ক শাখা যা সাধারণত বিদ্যুৎ, ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিজমের গবেষণা এবং প্রয়োগ সম্পর্কিত। এই ক্ষেত্রটি প্রথম ইলেক্ট্রিক টেলিগ্রাফ, টেলিফোনের বাণিজ্যিকীকরণ এবং হপক্ট্রিক পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করার পর ১৯ শতকের শেষার্ধে একটি শনাক্ত যোগ্য পেশা।মাস আধুনিক সভ্যতার বা বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার মূল চাবিকাঠি বিদ্যুৎ। একবার শুধু চিন্তা করলেই বোঝা যায় কোথায় এর ব্যবহার নেই, শুধু তাইনা বিদ্যুৎ ছাড়া চলেইনা আমাদের। পৃথিবীর এই বিস্ময়কর উন্নয়ন কেবলই এই বিদ্যুৎশক্তির কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে, আর আমাদের পড়ালেখা ও সেই বিদ্যুৎ বা তড়িৎ প্রকৌশল নিয়ে। তড়িৎ প্রকৌশল, অন্যান্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে অনেক বেশি Advanced, শুধু তাইনা এর কর্মপরিধিও অনেক বেশি।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এখন ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রকৌশল, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, টেলিকমিউনিকেশন, কন্ট্রোল সিস্টেম, রোবোটিক্স, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যাল প্রসেসিং, ইন্সট্রুমেন্টেশন এবং মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন উপ-ক্ষেত্রগুলিতে বিভক্ত। এই উপবিভাগগুলি অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সাথে ওভারল্যাপ করে, যেমন হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, বিদ্যুৎ ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক্স এবং তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানোপ্রযুক্তি, পুনঃনবীকরণযোগ্য শক্তি, পারমাণবিক শক্তি, মেকাট্রনিক্সসহ ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী প্রভৃতির মতো বিপুল সংখ্যক বিশেষায়িত ক্ষেত্রসহ আরও অনেক কছুই এর অন্তর্গত। ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে একজন শিক্ষার্থী ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিষয়ের উপর সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা বিদেশ থেকে যথাক্রমে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করার সুযোগ রয়েছে।


ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজঃ কন্ট্রোলিং, ইস্টিমিটিং, প্ল্যানিং, প্রোডাকশন, রিপেয়ারিং এন্ড ম্যানটেনেন্স, গবেষণা, সুপারভাইজিং। বাহিনী/প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, হাসপাতাল, বাংলাদেশের বিমানবন্দর, নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ, পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র, বেপজা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী।


ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মক্ষেত্র: ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থীরা সাধারণত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাব-অ্যাসিস্টান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকুরির সুযোগ পায়। ইহা ছাড়া দেশের বাইরেও দক্ষ প্রকৌশলী হিসাবে রয়েছে চাকুররি অনন্য সুযোগ। বাংলাদেশে চাকুরী ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াসা, পাওয়ার প্রোডাকশন প্রজেক্ট, সোলার এনার্জি প্রজেক্ট, মিল ও কলকারখানা, অপারেশন অ্যান্ড সার্কিট কোম্পানিস, মোবাইল কোম্পানিস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম তৈরির প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ এবং অপটিক্যাল ফাইবার শিল্প, ন্যাভিগেশনাল সরঞ্জাম উৎপাদন শিল্প, এরোস্পেস উৎপাদন শিল্প, অটোমোবাইল শিল্প, স্থাপত্য ও নির্মাণ সাম সংস্থা, প্রকৌশল সেবা, সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ, সশস্ত্র বিভাগ।


আধুনিক সভ্যতায় শক্তির মূল উৎস হিসেবে ইলেকট্রিসিটিকে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান সভ্যতার বিবর্তনে সারা বিশ্বব্যাপী আজকের উন্নয়ন এবং সভ্যতা নিয়ন্ত্রণ করছে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি। ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ছাড়া বর্তমান সভ্যতা অচল। বিদ্যুৎ উৎপাদন, ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন, মেরামত ও সংরক্ষণ কাজে এবং ইলেকট্রিক্যাল ক্ষেত্রসমূহে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটগণ কাজ করে থাকেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত বিভাগ, টি এন্ড টি বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি, সার কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসমূহসহ সরকারী, PGCB, DPDC, DESCO, NESCO, ZPDCQ,  পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিচালনা ও বন্টনের সকল স্তরে আধাসরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটগণ সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, ক্ষেত্র বিশেষে এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রাথমিক নিযুক্তি পেয়ে থাকে। বাংলাদেশে বেসরকারী পর্যায়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের উচ্চমান চাহিদা রয়েছে। এ টেকনোলজিতে প্রধান পাঠ্যবিষয় সমূহঃ বেসিক ইলেকট্রিসিটি, ইলেকট্রিক্যাল প্ল্যানিং এন্ড এস্টিমেটিং, ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট, ইলেট্রিক্যাল মেশিনস্, সুইচ গিয়ার এন্ড প্রোটেকটিভ ডিভাইসেস, জেনারেশন-ট্র্যান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন অব ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি, ইলেকট্রিক্যাল মেজারমেন্ট এন্ড মেজারিং ইনস্ট্রুমেন্টস, ইলেকট্রনিক্স, মাইক্রোকন্ট্রোলার ও কম্পিউটার ইত্যাদি। চ্যালেঞ্জিং জীবন গঠনের জন্য ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি উত্তম মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।

 

ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির ল্যাব সমূহঃ

১। ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ল্যাব

২। ইলেকটিক্যাল ওয়ারিং ও মেশিন সপ